,

হবিগঞ্জে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ! রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ ॥ পুলিশসহ আহত ৩০, আটক ১০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ শহরের ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওসি (তদন্ত) সহ অন্তত কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৩২ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২১ রাউন্ট টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। গতকাল শনিবার দুপুরে শায়েস্তানগর তেমুনিয়া থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি চিরাখানা সড়কের নিকট এলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় নেতাকর্মীদের। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় এলাকাবাসী আতংকে দোকানপাট বন্ধসহ রাস্তা বন্ধ থাকে। নেতাকর্মীরা রাস্তার দুইপাশের টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে হতভস্ত পরিবেশ সৃস্টি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদসহ ৩০ জন আহত হয়।
পরে অভিযান চালিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র জি কে গউছের ছেলে ব্যারিস্টার আলহাজ্ব মঞ্জুরুল কিবরিয়া প্রীতম, ভাই জি কে গফফার ও তার ছেলে আদনান ফারহাদ রাফিদসহ অন্তত ১০ জনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ, এসআই জুয়েল সরকার, সোহেল রানা, হারুন আল রশিদ, আব্দুর রহিম, কনস্টেবল মো. রিয়াজ, মাহমুদুল হাসান, মিল্লাত, মুন্সি আব্দুস সালাম, বিপুল, ইমরান, সেকান্দর, শাহরিয়া, শাওন নাথ, শামীমসহ ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবকদলের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। কিন্তু পুলিশের ভয়ে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে প্রাইভেট কিনিকে চিকিৎসা নেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জি কে গউছ জানান, তার বাসা থেকে ভাই, ছেলে ও ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষ রাস্তায় হয়েছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। কিন্তু নিরপরাধ লোকদের কেন আটক করা হচ্ছে?’এদিকে পুলিশের উপর হামলা ও নাশকতার প্রতিবাদে ঘটনার পরপরই জেলা ছাত্রলীগ একটি মিছিল বের করে প্রতিবাদ সভা করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, পুলিশ নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে ভেতরের রাস্তায় কর্মসুচি পালন করার জন্য বলে। কিন্তু তারা বাধা উপো করে মেইন রোডে গাড়ি চলাচলে বাধা দেয় এবং পুলিশকে ল্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। ফলে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন। তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট নিপে করেছে। তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাফরোজা আক্তার শিমুল জানান, ‘পুলিশ রাস্তায় অবস্থান করছিল। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করে। এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়’। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলার প্রস্থতি চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর